ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত প্রাথমিক নির্দেশিকা
সুচিপত্র
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কী?
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কিভাবে কাজ করে?
আর্থিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা
সাধারণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশল
শেষ কথা
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত প্রাথমিক নির্দেশিকা
হোম
নিবন্ধ
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত প্রাথমিক নির্দেশিকা

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত প্রাথমিক নির্দেশিকা

প্রকাশিত হয়েছে Nov 4, 2019আপডেট হয়েছে Oct 18, 2022
7m

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কী?

আমরা ক্রমাগত আমাদের সারা জীবন ধরে ঝুঁকি মোকাবেলা করে আসছি – হয় সাধারণ কাজের সময় (যেমন গাড়ি চালানো) অথবা নতুন বিমা বা চিকিৎসা পরিকল্পনা করার সময়। সংক্ষেপে, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়বস্তু হলো ঝুঁকির মূল্যায়ন এবং ব্যবস্থা গ্রহণ।

আমাদের বেশিরভাগই দৈনন্দিন কাজকর্মের সময় নিজেদের অজান্তে সেগুলো নিয়ে কাজ করে চলেছি। কিন্তু, যখন আর্থিক মার্কেট এবং ব্যবসায় প্রশাসনের কথা আসে, তখন ঝুঁকির মূল্যায়ন করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই সচেতন অনুশীলনের বিষয় হয়ে ওঠে।

অর্থনীতিতে, আমরা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে একটি পরিকাঠামো হিসেবে বর্ণনা করতে পারি যা সংজ্ঞায়িত করে যে কিভাবে একটি কোম্পানি বা বিনিয়োগকারী সেইসব আর্থিক ঝুঁকি মোকাবেলা করে থাকে, যা সব ধরনের ব্যবসায় অন্তর্নিহিত আছে। 

ট্রেডার এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য, পরিকাঠামোর মধ্যে একাধিক অ্যাসেট শ্রেণীর ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যেমন ক্রিপ্টোকারেন্সি, ফরেক্স, প্রোডাক্ট, শেয়ার, সূচক এবং রিয়েল এস্টেট।

অনেক ধরনের আর্থিক ঝুঁকি আছে, যেগুলোকে বিভিন্নভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে। এই নিবন্ধটি থেকে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার সম্পর্কে সাধারণভাবে জানা যাবে। এখানে কিছু কৌশল নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে যা ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের আর্থিক ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কিভাবে কাজ করে?

সাধারণত, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় পাঁচটি ধাপ থাকে: উদ্দেশ্য নির্ধারণ, ঝুঁকি চিহ্নিত করা, ঝুঁকি মূল্যায়ন, প্রতিক্রিয়া সংজ্ঞায়িত করা এবং পর্যবেক্ষণ করা। তবে, প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে এই পদক্ষেপগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।

লক্ষ্য নির্ধারণ করা

প্রথম ধাপ হলো মূল লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করা। এটি প্রায়ই কোম্পানি বা ব্যক্তির ঝুঁকি সহনশীলতার সাথে সম্পর্কিত। অন্য কথায়, তারা তাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কতটা ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক।

ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ

দ্বিতীয় ধাপে সম্ভাব্য ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ এবং সংজ্ঞায়িত করার বিষয়টি জড়িত। এটির লক্ষ্য হলো নেতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে এমন সকল ঘটনা উদঘাটিত করা। ব্যবসায়িক পরিবেশে, এই পদক্ষেপটি অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ তথ্যও প্রদান করতে পারে যা সরাসরি আর্থিক ঝুঁকির সাথে সম্পর্কিত নয়।

ঝুঁকি মূল্যায়ন

ঝুঁকি চিহ্নিত করার পর, পরবর্তী ধাপ হলো সেগুলো ঘটার প্রত্যাশিত হার এবং তীব্রতা মূল্যায়ন করা। তারপরে ঝুঁকিগুলোকে গুরুত্বের ক্রম অনুসারে সাজানো হয়, যা একটি উপযুক্ত ব্যবস্থা তৈরি করার বা গ্রহণের সুবিধা দেয়।

প্রতিক্রিয়া সংজ্ঞায়িত করা

চতুর্থ ধাপের কাজ হলো, প্রত্যেক ধরনের ঝুঁকির জন্য তাদের গুরুত্বের মাত্রা অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া সংজ্ঞায়িত করা। এই পর্যায়ে, কোনো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটলে সেটির জন্য করণীয় ব্যবস্থা নির্ধারণ করা হয়।

পরিবীক্ষণ

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশলের চূড়ান্ত ধাপ হলো ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এর কার্যকারিতা পরিবীক্ষণ করা। এর জন্য প্রায়ই অবিরামভাবে ডেটা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয়।

আর্থিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা

একটি কৌশল বা একটি ট্রেড সেটআপ ব্যর্থ হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, মার্কেট কোনো ট্রেডারের ফিউচার কন্ট্রাক্ট পজিশনের বিপরীতে চলে গেলে সেই ট্রেডার অর্থ হারাতে পারেন অথবা তারা সংবেদনশীল হয়ে এবং আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে বিক্রি করে দেন।

সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়ার কারণে ট্রেডাররা প্রায়ই প্রাথমিক কৌশলগুলো উপেক্ষা করেন বা সেগুলো কাজে লাগাতে পারেন না। এটি বিশেষ করে নিম্নমুখী বাজার এবং ক্যাপিচুলেশনের সময়কালে লক্ষণীয়।

আর্থিক মার্কেটে, বেশিরভাগ লোক এই বিষয়ে একমত যে, সঠিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কৌশল তাদের সাফল্যে ব্যাপকভাবে অবদান রাখে। প্রকৃতপক্ষে, এটি স্টপ-লস বা টেক-প্রফিট অর্ডার সেট করার মতো সহজ হতে পারে।

একটি শক্তিশালী ট্রেডিং কৌশলে সুস্পষ্টভাবে একগুচ্ছ সম্ভাব্য পদক্ষেপের কথা উল্লেখ থাকা উচিত, যাতে ট্রেডাররা সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আরো বেশি প্রস্তুত থাকতে পারেন। যদিও, আগেই বলা হয়েছে, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অনেক উপায় আছে। সাধারণভাবে, কৌশলগুলো পরিমার্জনা করা উচিত এবং ক্রমাগত অভিযোজিত করা উচিত।

নিম্নে আর্থিক ঝুঁকির কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো, পাশাপাশি সেগুলোকে কিভাবে প্রশমিত করা যায় সে বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণও দেওয়া হলো।

  • মার্কেটের ঝুঁকি: প্রতিটি ট্রেডে স্টপ-লস অর্ডার সেট করে কমিয়ে আনা যেতে পারে যাতে বড় ক্ষতি হওয়ার আগে পজিশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

  • তারল্য ঝুঁকি: উচ্চ-পরিমাণে মার্কেটে ট্রেড করে এটি প্রশমিত করা যেতে পারে। সাধারণত, উচ্চ মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন মূল্য সহ অ্যাসেটগুলো আরো তরল হতে থাকে।

  • ক্রেডিট ঝুঁকি: আস্থাভাজন এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করে ট্রেড করার মাধ্যমে এটি হ্রাস করা যেতে পারে যাতে ঋণগ্রহীতা এবং ঋণদাতাদের (বা ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের) একে অপরকে বিশ্বাস করতে না হয়।

  • পরিচালনাগত ঝুঁকি: বিনিয়োগকারীরা তাদের পোর্টফোলিওগুলোকে বৈচিত্র্যময় করে, একটি একক প্রকল্প বা কোম্পানির এক্সপোজার রোধ করে পরিচালনাগত ঝুঁকি কমাতে পারেন। তারা এমন কোম্পানি খুঁজে বের করার জন্য কিছু গবেষণাও চালাতে পারেন যেগুলোর ব্যাপারে পরিচালনাগত ত্রুটির অভিজ্ঞতা কম রয়েছে।

  • পদ্ধতিগত ঝুঁকি: এটিও পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যকরণ দ্বারা হ্রাস করা যেতে পারে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে, বৈচিত্র্যের মধ্যে বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রস্তাব সম্পন্ন প্রজেক্ট অথবা বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির অধীন কোম্পানিগুলোকে অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত। বিশেষ করে যেগুলোর মধ্যে খুব কম পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে।

সাধারণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশল

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার একচ্ছত্র কোনো উপায় নেই। বিনিয়োগকারী এবং ট্রেডাররা প্রায়ই তাদের পোর্টফোলিও সমৃদ্ধ করার সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সরঞ্জাম এবং কৌশলগুলোর সংমিশ্রণ ব্যবহার করে থাকেন। নিচে কিছু কৌশলের উদাহরণ দেওয়া হল যা ট্রেডাররা ঝুঁকি কমাতে ব্যবহার করে থাকেন।

1% ট্রেডিংয়ের নিয়ম

1% ট্রেডিংয়ের নিয়ম (বা 1% ঝুঁকির নিয়ম) হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ট্রেডাররা তাদের ক্ষতি সীমিত করতে তাদের ট্রেডিং মূলধনের সর্বোচ্চ 1% পর্যন্ত ব্যবহার করে থাকেন। এর মানে হলো তারা হয় তাদের পোর্টফোলিওর 1% দিয়ে ট্রেড করতে পারেন অথবা তাদের পোর্টফোলিও মানের 1% এর সমান স্টপ-লস সহ একটি বড় অর্ডার দিয়ে করতে পারেন। 1% ট্রেডিংয়ের নিয়ম সাধারণত ডে ট্রেডারদের দ্বারা ব্যবহৃত হয় তবে সুইং ট্রেডাররাও এটি প্রয়োগ করে থাকেন।

যদিও 1% হল একটি সাধারণ নিয়ম, তবুও কিছু কিছু ট্রেডার এই মানটিকে অন্যান্য নিয়ামকের সাথে সামঞ্জস্য করে থাকেন, যেমন অ্যাকাউন্টের আকার এবং ব্যক্তিগত ঝুঁকির চাহিদা। উদাহরণ স্বরূপ, বৃহত্তর অ্যাকাউন্ট এবং রক্ষণশীল ঝুঁকির চাহিদাসম্পন্ন কেউ প্রত্যেক ট্রেডে তাদের ঝুঁকি আরো ছোট শতাংশে সীমিত করতে চাইতে পারেন।

স্টপ-লস এবং টেক-প্রফিট অর্ডার

কোনো ট্রেড ভুল হলে, সেক্ষেত্রে, স্টপ-লস অর্ডারগুলো ট্রেডারদের লোকসান সীমিত করার সুযোগ দেয়। টেক-প্রফিট অর্ডারগুলোতে কোনো ট্রেড ভালো হলে সেটিতে মুনাফা লক করে দিয়ে লাভ নিশ্চিত করে। সাধারণভাবে, একটি পজিশনে প্রবেশ করার আগে স্টপ-লস এবং টেক-প্রফিট মূল্য নির্ধারণ করে দিতে হয় এবং ট্রেড খোলার সাথে সাথে অর্ডারগুলো সেট করতে হয়।

কখন ক্ষতি কমাতে হবে তা জানা অপরিহার্য, বিশেষ করে একটি অস্থির বাজারে যেখানে মূল্য দ্রুত কমে যেতে পারে। আপনার প্রস্থান কৌশল আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখলে সেটি সংবেদনশীল ট্রেডিংজনিত কারণে দুর্বল সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকেও রক্ষা করে। প্রতিটি ট্রেডের ঝুঁকি-পুরস্কারের অনুপাত গণনার জন্য স্টপ-লস এবং টেক-প্রফিট স্তরগুলোও অপরিহার্য।

হেজিং

হেজিং হলো আরেকটি কৌশল যা ট্রেডাররা এবং বিনিয়োগকারীরা আর্থিক ঝুঁকি কমাতে ব্যবহার করেন। এটিতে পরস্পরকে অফসেট করে দেয় এমন দুটি পজিশন গ্রহণ করা হয়ে থাকে। সহজ কথায়, ট্রেডাররা একই বা সমান আকারের বিপরীতমুখী ট্রেড করে একটি ট্রেড হেজ করতে পারে। 

বিপরীতমুখী পজিশনে প্রবেশ করা যুক্তিবিরোধী মনে হতে পারে, কিন্তু সঠিকভাবে করা হলে, হেজিং মার্কেটের গতিবিধির প্রভাব কমাতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, মনে করুন যে, আপনি লং BTC-এর মালিক এবং আপনি সেটি একটি ব্যক্তিগত ওয়ালেটে ধরে রেখেছেন। যদি মার্কেট একটি ডাউনট্রেন্ডে প্রবেশ করে, তাহলে আপনি আপনার BTC স্থানান্তর করা ছাড়াই আপনার লং পজিশন অফসেট করার জন্য একটি শর্ট পজিশন নিতে পারেন। এটিকেই আমরা বাজার-নিরপেক্ষ কৌশল বলি। 

আপনি যদি ফিউচার ট্রেড করেন, তাহলে আপনি একই চুক্তির অধীনে একই সাথে লং এবং শর্ট উভয় দিকের পজিশন ধরে রাখতে Binance ফিউচারে হেজ মোডের মাধ্যমে ট্রেড করতে পারেন।

বৈচিত্র্যকরণ

পুরানো প্রবাদের কথা, আপনার সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখবেন না। অন্য কথায়, আপনার পোর্টফোলিওকে বৈচিত্র্যময় করুন। তাত্ত্বিকভাবে, একটি ভাল-বৈচিত্র্যপূর্ণ পোর্টফোলিও শুধুমাত্র একটি একক অ্যাসেট নিয়ে গঠিত পোর্টফোলিওর তুলনায় ব্যাপক ক্ষতির বিরুদ্ধে বেশি সুরক্ষা প্রদান করে। আপনি যদি একটি বৈচিত্র্যময় পোর্টফোলিওতে ক্রিপ্টো অ্যাসেট ধরে রাখেন, তাহলে এর দাম কমে গেলে আপনি যে সর্বোচ্চ ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তা হবে আপনার পোর্টফোলিওর শতাংশ মাত্র। অন্যদিকে, যদি আপনার পোর্টফোলিও একচ্ছত্রভাবে একটি একক অ্যাসেট নিয়ে গঠিত হয়, তাহলে আপনি সম্ভাব্যরূপে আপনার পোর্টফোলিওর মূল্যের 100% হারাতে পারেন। 

ঝুঁকি-পুরস্কারের অনুপাত

ঝুঁকি-পুরস্কারের অনুপাত সম্ভাব্য পুরষ্কারের সাপেক্ষে একজন ব্যবসায়ী যে ঝুঁকি গ্রহণ করবেন তা গণনা করে। আপনি বিবেচনা করছেন এমন একটি ট্রেডের ঝুঁকি-পুরস্কারের অনুপাত গণনা করতে , সম্ভাব্য ক্ষতিকে সম্ভাব্য মুনাফা দ্বারা ভাগ করুন। তাই, যদি আপনার স্টপ-লস 5% হয় এবং আপনার লক্ষ্য 15% লাভ হয়, তাহলে আপনার ঝুঁকি-পুরস্কারের অনুপাত হবে 1:3, যার অর্থ সম্ভাব্য মুনাফা ঝুঁকির চেয়ে তিনগুণ বেশি।

শেষ কথা

একটি ট্রেডিং পজিশন খোলার আগে বা একটি পোর্টফোলিওতে মূলধন বরাদ্দ করার আগে, ট্রেডার এবং বিনিয়োগকারীদের উচিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশল তৈরির কথা বিবেচনা করা। তারপরও, একথা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে আর্থিক ঝুঁকি সম্পূর্ণরূপে এড়ানো যাবে না।

সামগ্রিকভাবে, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কিভাবে ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হয় তা সংজ্ঞায়িত করে, তবে এটি অবশ্যই শুধুমাত্র ঝুঁকিগুলোকে সম্পূর্ণরূপে এড়ানোর বিষয়ে নয়। এর সাথে কৌশলগত চিন্তাভাবনাও জড়িত যাতে অনিবার্য ঝুঁকিগুলো সম্ভাব্য সবচেয়ে কার্যকর উপায়ে মোকাবেলা করা যায়। 

অন্য কথায়, এর সাথে প্রেক্ষাপট এবং কৌশল অনুসারে ঝুঁকি শনাক্তকরণ, মূল্যায়ন এবং নিরীক্ষণের বিষয়ও জড়িত। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার লক্ষ্য ঝুঁকি/পুরস্কারের অনুপাত মূল্যায়ন করা, যাতে সবচেয়ে অনুকূল পজিশনগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া যায়।