TL;DR
ব্যক্তিগত আর্থিক লক্ষ্য হলো সেই সকল আর্থিক উদ্দেশ্য যা আপনি আপনার ফাইনান্সকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করার জন্য নির্ধারণ করে থাকেন। আপনার শখকে নগদীকরণ করা শুরু করে একটি সঞ্চয় পরিকল্পনা তৈরি করা পর্যন্ত, আপনার ব্যক্তিগত আর্থিক লক্ষ্যে পৌঁছানোর অনেক উপায় রয়েছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পের বিকাশের সাথে সাথে, এটি ব্যক্তিগত আর্থিক উদ্দেশ্য পূরণের আরেকটি সম্ভাব্য ট্যুল হয়ে উঠছে।
ব্যক্তিগত আর্থিক লক্ষ্য কী?
ব্যক্তিগত আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলো ব্যক্তিগত খরচ, উপার্জন, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়াদি সঠিকভাবে পরিকল্পনা করার প্রথম ধাপ। কোনো লক্ষ্য না থাকলে আপনি কি পরিমাণ ব্যয় এবং কি পরিমাণ সঞ্চয় করবেন তার বাজেট নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আপনার ব্যক্তিগত অর্থকে স্থিতিশীল রাখার জন্য পদ্ধতিগতভাবে কাজ করাও আপনার জন্য কঠিন হয়ে উঠবে। প্রকৃতপক্ষে, গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বৃহত্তর সাফল্য অর্জনের সাথে সঠিকভাবে লক্ষ্য নির্ধারণের সম্পর্ক রয়েছে।
এই লক্ষ্যগুলো বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে ব্যক্তিভেদে আলাদা হয়ে থাকে। কারো কারো জন্য, এটি হতে পারে প্রতি মাসে $1,000 সঞ্চয় করা। অন্যদের ক্ষেত্রে এটি হতে পারে $10 মিলিয়ন নেট মূল্যে পৌঁছানো। আর্থিক লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল রয়েছে, তবে কেন্দ্রীয় দুটি পদ্ধতি হলো সর্বদা ব্যয় হ্রাস করা এবং আয় বৃদ্ধি করা।
কীভাবে আপনার ব্যক্তিগত আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন
লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত SMART পদ্ধতি ব্যবহার করার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, এর পূর্ণরূপ হলো নির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, কর্ম পরিকল্পনা-ভিত্তিক, বাস্তবসম্মত এবং সময়-নির্ভর।
ব্যক্তিগত আর্থিক লক্ষ্য নির্দিষ্ট এবং পরিমাপযোগ্য হতে হবে। প্রতি মাসে $1,000 সঞ্চয় করতে চাওয়ার লক্ষ্যটি নির্দিষ্ট ও পরিমাপযোগ্য, অন্যদিকে আমি "কিছু" অর্থ সঞ্চয় করতে চাই বলা হলে সেটি তেমন নয়। এই উদ্দেশ্যগুলোকে কর্ম পরিকল্পনা-ভিত্তিকও হতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার মাসিক ব্যয়কে বেতনের 50%-এ নিয়ে আসতে চাইলে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, কিন্তু "আমি ধনী হতে চাই" বলা হলে এক্ষেত্রে উদ্দেশ্যটি খুবই অস্পষ্ট যা কর্ম পরিকল্পনা-ভিত্তিক নয়।
লক্ষ্য নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত হওয়া এবং নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকার বিষয়টিও অপরিহার্য। সাধারণ একটি পদ্ধতি হলো স্বল্প-মেয়াদী, মধ্য-মেয়াদী এবং দীর্ঘ-মেয়াদী লক্ষ্য অনুসারে নিজের লক্ষ্যগুলোকে সুবিন্যস্ত করা।
স্বল্প-মেয়াদী লক্ষ্যগুলো পূরণে কয়েক মাস থেকে এক বছর, মধ্য-মেয়াদী লক্ষ্যগুলো (যেমন ঋণমুক্ত হওয়া বা সন্তানের শিক্ষার জন্য সঞ্চয়) পূরণে পাঁচ বছর এবং দীর্ঘ-মেয়াদী লক্ষ্যগুলো (যেমন কোনো সম্পত্তি কেনা বা কোনো অবসর তহবিলে বিনিয়োগ) পূরণে পাঁচ বছরের বেশি সময় লাগতে পারে।
আর্থিক লক্ষ্যগুলোর সাথে সর্বদা একটি নির্দিষ্ট সময়কে সংশ্লিষ্ট রাখার অভ্যাস থাকা ভালো। 2023 সালের শেষ নাগাদ আপনার বিনিয়োগের পোর্টফোলিওকে $10,000-এ উন্নীত করার লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে আপনার অনুপ্রাণিত হওয়ার সম্ভাবনা, সময়সীমা ছাড়া এই একই লক্ষ্য অর্জনের চেয়ে বেশি হবে। এছাড়াও, আপনার একাধিক আর্থিক লক্ষ্য থাকলে সতর্কতার সাথে সেগুলোর রূপরেখা এবং অগ্রাধিকার নির্ধারণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি 10 বছরের মধ্যে কোনো সম্পত্তি কিনতে চান, তাহলে $200,000 ডাউন পেমেন্ট সঞ্চয় করার লক্ষ্যে প্রতি মাসে আপনাকে কি পরিমাণ সঞ্চয় করতে হবে তা নির্ধারণ করতে আপনি উল্টো করে হিসাব করতে পারেন।
আর্থিক লক্ষ্য অর্জনের কৌশলসমূহ
আপনার আর্থিক উদ্দেশ্যসমূহ পূরণের জন্য প্রধান দুটি পন্থা হলো: ব্যয় হ্রাস করা এবং আয় বৃদ্ধি করা।
ব্যয় কমানো
আপনার ব্যয়ের উপর মনোযোগ দিন: ব্যয় কমানোর আগে, আপনার অর্থ কোথায় যাচ্ছে তা বুঝতে হবে। এক মাসের জন্য আপনার ব্যয়ের অভ্যাস নিরীক্ষণ করুন এবং ব্যয় সংক্রান্ত সকল বিষয়াদি রেকর্ড করুন।
একটি বাজেট তৈরি করুন: ব্যয়ের অভ্যাসগুলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়কে কমিয়ে এনে আপনার অর্থকে আরো ভালোভাবে পরিচালনা করার জন্য ব্যয়ের উপর একটি সীমা আরোপ করুন।
আপনার সাধ্যের মধ্যে খরচ করুন: আপনার উপার্জনের চেয়ে কম ব্যয় করুন; বাজেট অনুযায়ী চললে তা আপনাকে অতিরিক্ত ব্যয় এড়ানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, আবেগী হয়ে কোনো কিছু কেনার বিষয়টি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। খামখেয়ালীর বসে করে কোনো কিছু কেনার লোভ হতে পারে, তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কমপক্ষে 24 ঘন্টা অপেক্ষা করুন।
ধারাবাহিকভাবে সঞ্চয় করুন: প্রতি মাসে আপনার আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ সঞ্চয় করতে ভুলবেন না। উদাহরণস্বরূপ, আপনি আপনার মাসিক বেতনের কমপক্ষে 10% সঞ্চয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন।
আয় বাড়ান
সুদ সহ সঞ্চয়: কোনো সুদ-প্রদানকারী সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে অর্থ রেখে আপনার সঞ্চয় থেকে সর্বোচ্চ আয় নিশ্চিত করুন।
উপরি আয়: সুযোগ থাকলে আপনার মূল কাজের পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়ের জন্য একটি খণ্ডকালীন চাকরি নিন। আপনি গিগ অর্থনীতি চেষ্টা করে দেখতে পারেন বা এমনকি আপনার নিজের ব্যবসাও শুরু করতে পারেন। আপনার যদি কোনো শখ থাকে তাহলে সেটিকে কীভাবে নগদীকরণ করা যায় তা নিয়ে ভাবুন।
পরোক্ষ আয়: পরোক্ষ আয় হলো সক্রিয়ভাবে কাজ না করে অর্জিত আয়। এই ধরনের আয় প্রায়শই বিনিয়োগ থেকে আসে, যেমন ক্রিপ্টো, ফরেক্স, স্টক এবং বন্ড। অন্যান্য ধরণের পরোক্ষ আয়ের মধ্যে রয়েছে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি ও ভাড়া থেকে আসা আয়।
কীভাবে ক্রিপ্টো আপনার আর্থিক লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে
একটি ক্রিপ্টো সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট শুরু করুন
আপনি সক্রিয় ট্রেডিংয়ে আগ্রহী না হলে একটি ক্রিপ্টো সুদ-প্রদানকারী সঞ্চয় অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনার ক্রিপ্টো হোল্ডিং থেকে পরোক্ষ আয় করার কথা বিবেচনা করে দেখতে পারেন। শুধুশুধু ফেলে না রেখে আপনার ডিজিটাল অ্যাসেট জমা করে সেগুলো দিয়ে সুদ উপার্জন করুন।
ক্রিপ্টো কার্ড দিয়ে খরচ করুন
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার সময় এমন ডিলগুলো খুঁজুন যেগুলো আপনাকে খরচ করার সময় সঞ্চয় করার সুযোগ করে দিবে। এর মধ্যে রয়েছে ক্যাশব্যাক পুরস্কার প্রোগ্রাম এবং ক্রিপ্টো কার্ড যা ক্রেডিট, ক্যাশ বা ক্রিপ্টো আকারে আপনাকে ক্রয়কৃত পরিমাণের একটি অংশ ফেরত দিবে।
ক্রিপ্টো রিসেলিং ব্যবসা শুরু করুন
একটি নতুন আয়ের উৎসের ব্যাপারে ভাবছেন? মুনাফা অর্জনের জন্য ক্রিপ্টো গিফট কার্ড রিসেল বা বিতরণ করার কথা বিবেচনা করুন। ক্রিপ্টো গিফট কার্ড ব্যবহারকারীদেরকে তাদের ক্রিপ্টো অ্যাকাউন্ট টপ আপ এবং বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার জন্য সুবিধাজনক ও নিরাপদে পেমেন্ট করার সুযোগ প্রদান করে থাকে।
একজন NFT শিল্পী হয়ে উঠুন
আপনার পছন্দের কোনো কিছুকে লাভজনক উদ্যোগে পরিণত করার জন্য আপনার শখকে নগদীকরণ করা একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে। আপনি যদি একজন নির্মাতা হয়ে থাকেন, তাহলে মনে রাখুন নন-ফাঞ্জিবল টোকেন (NFTs)-এর বিলিয়ন-ডলারের মার্কেট রয়েছে। অসংখ্য NFT মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলো শিল্পীদেরকে তাদের নিজস্ব মিডিয়া সৃষ্টি করার এবং NFT নির্মাতা হিসেবে যাত্রা শুরু করার সুযোগ করে দেয়।
আপনার পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্যময় করতে ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করুন
বৈচিত্র্য একটি ঝুঁকি প্রশমন সংক্রান্ত কৌশল যা সাধারণত বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত হয়। একজনের বিনিয়োগ পোর্টফোলিও-কে বৈচিত্র্যময় করতে ক্রিপ্টো ব্যবহার করা যেতে পারে, যদিও ক্রিপ্টো মার্কেট অন্যান্য আর্থিক মার্কেটগুলোর সাথে কতটা পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
শেষ পর্যন্ত, ঝুঁকি নেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিনিয়োগ শৈলীর উপর নির্ভর করে কোনো কোনো বিনিয়োগকারীর জন্য ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ একটি উপযুক্ত বৈচিত্র্যময় ট্যুল হতে পারে। সর্বদা মনে রাখবেন, ক্রিপ্টো বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ এবং সবার জন্য নয়। ক্রিপ্টো বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে নির্দেশিকার জন্য এখানে শুরু করুন।
আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে ক্রিপ্টো ব্যবহার সংক্রান্ত পরামর্শ
DYOR
বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে ক্রিপ্টোর সক্ষমতা থাকলেও এতে ঝুঁকিও রয়েছে যা ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো অর্থ উপার্জনের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে মধ্যে। তাই, যেকোনো আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ার আগে সবসময় ব্যক্তিগত গবেষণা (DYOR) করতে ভুলবেন না। এটি করার অনেক উপায় রয়েছে এবং আপনার গবেষণা যত বেশি বিস্তৃত হবে ততই আপনি সম্ভাব্য ঝুঁকি চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে অধিক পারদর্শী হয়ে উঠবেন।
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা
বিনিয়োগ বা ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ট্যুল। একটি ভালো সাধারণ নিয়ম যা অনুসরণ করা যেতে পারে তা হলো, আপনি সর্বোচ্চ যে পরিমাণ লোকসানে ইচ্ছুক ঠিক ততটাই বিনিয়োগ করুন এবং আপনার বিনিয়োগের সুরক্ষার জন্য কৌশল কাজে লাগান। নতুনদের জন্য, কীভাবে আপনার অ্যাসেটকে দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনা করবেন তা শিখতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক নির্দেশিকা পড়ুন।
ক্রিপ্টো ট্যাক্সের দায় সংক্রান্ত বিষয়াদি বুঝুন
আপনি যদি ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করে আপনার আর্থিক লক্ষ্যগুলো অর্জন করার জন্য কাজ করা শুরু করে থাকেন, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপটি হলো আপনার ক্রিপ্টো ট্যাক্সের দায় সংক্রান্ত বিষয়াদি বোঝা এবং সমাধান করা। কিছু কিছু অধিক্ষেত্রে, আপনি যদি আপনার ক্রিপ্টো আয়ের উপর ধার্যকৃত প্রয়োজনীয় ট্যাক্স পরিশোধ না করেন তাহলে জরিমানা আরোপ করা হতে পারে।
শেষ কথা
আপনার স্বাচ্ছন্দ্যের মাত্রা, বর্তমান চাহিদা এবং অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করে আর্থিক লক্ষ্যে পৌঁছানোর ভিন্ন ভিন্ন উপায় রয়েছে। আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করে এই কৌশলগুলোর মধ্যে কতগুলোকে এক সাথে মিলিয়ে বা আলাদাভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার দৃষ্টিভঙ্গি যাই হোক না কেন, যেকোনো সম্ভাব্য আর্থিক সুযোগ, ক্রিপ্টো বা অন্যান্য ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো না করার বিষয়টি মাথায় রাখবেন। "অধিক ঝুঁকি, অধিক পুরস্কার" মানসিকতা নিয়ে তাড়াহুড়ো করলে বিষয়টি উল্টোও হতে পারে এবং আপনাকে গোড়াতেই ফেরত আসতে হতে পারে।
আরো পড়ুন
দাবি পরিত্যাগী ঘোষণা এবং ঝুঁকি বিষয়ক সতর্কতা: এই লেখাটি আপনার কাছে কোনো ধরণের প্রতিনিধিত্ব বা নিশ্চয়তা ছাড়াই শুধু সাধারণ তথ্য ও শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে "যেমন আছে" নীতির ভিত্তিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটিকে আর্থিক পরামর্শ হিসেবে অথবা কোনো নির্দিষ্ট পণ্য বা পরিষেবা ক্রয়ের সুপারিশ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। ডিজিটাল অ্যাসেটের মূল্য অস্থিতিশীল হতে পারে। আপনার বিনিয়োগের ভ্যালু হ্রাসও পেতে পারে আবার বাড়তেও পারে এবং আপনি যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছেন তা ফেরত নাও পেতে পারেন। আপনার বিনিয়োগের সিদ্ধান্তের দায় সম্পূর্ণভাবেই আপনার ও সম্ভাব্য কোনো লোকসানের জন্য Binance দায়ী নয়। এটি কোনো আর্থিক পরামর্শ নয়।