অসাধু পক্ষটি তখন ব্লকচেইনে BTC ট্রান্সফার নিশ্চিত হওয়ার আগের ব্লকে ফিরে গিয়ে একটি বিকল্প চেইন মাইন করতে পারবে যেখানে BTC ট্রান্সফারটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। নেটওয়ার্কিং ক্ষমতার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করবে যে বিকল্পটি নেটওয়ার্কের বাকি অংশেও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
যদিও 51% আক্রমণ চালানোর সময় আক্রমণকারী অনেক ক্ষতি করতে পারে, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠের আক্রমণ অসাধু পক্ষকে লেনদেনের সম্প্রচার আটকানোর বা অন্য ব্যবহারকারীর লেনদেন বিপরীতমুখী করার ক্ষমতা দেয় না। ব্লকের পুরস্কার পরিবর্তন করা, শূন্য থেকে কয়েন তৈরি করা বা আক্রমণকারীর কাছে কখনো ছিল না এমন কয়েন চুরির ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও খুব কম।
লেনদেন যত পেছনের হবে সেটিকে বিকৃত করাও তত কঠিন হবে, কারণ নেটওয়ার্কটিকে ব্লকের বর্তমান উচ্চতা পর্যন্ত আনতে যতগুলো নতুন ব্লক মাইন করতে হবে তার সংখ্যাও তত বাড়বে। এই কারণেই বিটকয়েনের লেনদেন সম্পন্ন করতে সাধারণত 6 ধাপ নিশ্চিতকরণের প্রয়োজন হয়।
নেটওয়ার্কের বিস্তৃতির কারণে বিটকয়েন ব্লকচেইনে 51% আক্রমণের সম্ভাবনা খুবই কম। নেটওয়ার্কের প্রসারের সাথে সাথে একজন একক ব্যক্তির বা একটি একক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে একাই অন্য সকল অংশগ্রহণকারীকে বিহ্বল করে দেওয়ার মত পর্যাপ্ত হিসেব করার শক্তি লাভ করাটা ক্রমশ অবাস্তব হয়ে পড়ে।
ব্লকচেইন বিভিন্ন কৌশলের সংমিশ্রণ ব্যবহার করে 51% আক্রমণ প্রতিরোধ করে। একটি উপায় হলো নেটওয়ার্কে যোগদান করে নেটওয়ার্ককে সমর্থন করার জন্য নিজেদের নোড চালাতে আরো অংশগ্রহণকারীকে উৎসাহিত করা। সংস্থানের যোগান দেওয়া অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা যত বেশি হবে, কোনো একক সত্ত্বার পক্ষে নেটওয়ার্কে আধিপত্য বিস্তার করা তত কঠিন হবে।
প্রুফ-অব-ওয়ার্ক (PoW) ও প্রুফ-অব-স্ট্যাকের (PoS) মতো কনসেনশাস মেকানিজমগুলোও 51% আক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রক্রিয়াগুলোতে ব্লকচেইনে নোড যুক্ত করার আগে লেনদেনের বৈধতার বিষয়ে নোডগুলোকে একমত হতে হয়। এতে করে নেটওয়ার্ক নিয়ে কারসাজি করা আক্রমণকারীর জন্য অর্থনৈতিকভাবে ও হিসেব করার দিক থেকে ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে, কারণ তখন আক্রমণকারীকে নেটওয়ার্কের বেশিরভাগ সংস্থান নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
আরেকটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হলো বিকেন্দ্রীকরণের উপর জোর দেওয়া। বিভিন্ন জায়গায় নোড বিতরণ এবং অনেক বেশি অংশগ্রহণকারীকে যুক্ত করার ফলে কোনো একক সত্ত্বা মাত্রাতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ পায় না।