মার্কেট মূলধন
ব্লকচেইন শিল্পের মধ্যে, মার্কেট মূলধন (বা মার্কেট ক্যাপ) শব্দটি দিয়ে এমন একটি মেট্রিককে বোঝায় যা কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সির আপেক্ষিক আকার পরিমাপ করে। এটি কোনো নির্দিষ্ট
কয়েন বা টোকেনের বর্তমান মার্কেট মূল্যকে সঞ্চালনে থাকা মোট কয়েনের সংখ্যা দিয়ে গুণ করে হিসাব করা হয়।
মার্কেট ক্যাপ = বর্তমান মূল্য x সঞ্চালিত সরবরাহ
উদাহরণস্বরূপ, কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতিটি ইউনিট $10.00-এ লেনদেন হলে এবং
সঞ্চালিত সরবরাহ 50,000,000 কয়েনের সমান হলে এই ক্রিপ্টোকারেন্সির মার্কেট মূলধন হবে $500,000,000।
মার্কেট ক্যাপ কোনো কোম্পানি বা
ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রজেক্টের আকার এবং পারফর্মেন্স সম্পর্কে কিছু কিছু অন্তর্দৃষ্টি দিতে পারলেও এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এটি অর্থের অন্তঃপ্রবাহের (Inflow) অনুরূপ নয়। সুতরাং, মার্কেটে কী পরিমাণ অর্থ রয়েছে এটি তার প্রতিনিধিত্ব করে না। এটি একটি প্রচলিত ভুল ধারণা কারণ মার্কেট ক্যাপের গণনা সরাসরি মূল্যের উপর নির্ভর করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, মূল্যে তুলনামূলকভাবে কোনো ছোট পরিবর্তন হলেও মার্কেট ক্যাপ উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হতে পারে।
আগের উদাহরণের বিবেচনায়, কয়েক মিলিয়ন ডলার
ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্যকে $10.00 থেকে $15.00-তে বাড়িয়ে দিতে পারে, যার ফলে মার্কেট ক্যাপ $500,000,000 থেকে $750,000,000 পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। তবে, এর মানে এই নয় যে মার্কেটে $250,000,000-এর অন্তঃপ্রবাহ ছিল। প্রকৃতপক্ষে, মূল্য বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ ভলিউম এবং
তারল্যের উপর নির্ভর করে, যেগুলো স্বতন্ত্র হলেও সম্পর্কিত ধারণা।
ভলিউম একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিনিময় হওয়া অ্যাসেটের সংখ্যার সাথে সম্পর্কিত হলেও,
তারল্য হলো মূল্যের উপর খুব বেশি প্রভাব ফেলে না এমন মাত্রায় অ্যাসেটটি দ্রুত ক্রয় বা বিক্রয় করা।
সহজ কথায়, উচ্চ-ভলিউম এবং তরল মার্কেট সহজে ম্যানিপুলেট করা যায় না কারণ অর্ডার বুকে অনেক অর্ডার রয়েছে এবং মূল্যের বিভিন্ন সীমার মধ্যে বিপুল পরিমাণ অর্ডার রয়েছে। এর ফলে মার্কেটের
অস্থিরতা কম হবে, যার অর্থ হলো মূল্যকে উল্লেখযোগ্যভাবে হেরফের করার জন্য কোনো হোয়েলের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে।
বিপরীতে, কোনো লো-ভলিউম মার্কেটের একটি হালকা অর্ডার বুককে তুলনামূলকভাবে অল্প পরিমাণ অর্থ দিয়ে সহজেই অগ্রাহ্য করা যেতে পারে, যার ফলে মূল্য এবং মার্কেটের ক্যাপ উভয়ের উপর একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব তৈরি হয়।